বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১০ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

তারেকের রায় কার্যকরের প্রচেষ্টা চলছে: তথ্যমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ৮ মে ২০১৯ বুধবার

তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে রায় কার্যকরের প্রচেষ্টা চলছে এবং সেই প্রচেষ্টায় সরকার সফল হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (০৮ মে) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১০৯তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে বসে যেমন নেতৃত্ব দিতেন, তেমনি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেন এবং বিএনপির নেতৃত্ব দেন। তিনি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তার বিরুদ্ধে যে রায় রয়েছে, সেটা কার্যকরে সরকারের প্রচেষ্টা সফল হবে।

এসময় প্রীতিলতার কথা স্মরণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যখন মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতো না, সেই সময় প্রীতিলতা বিপ্লবী দলে যোগ দেন এবং দেশের মুক্তির জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন। আজকে রাজনীতিতে আদর্শের বড় অভাব। তাই প্রীতিলতার জীবনীগ্রন্থ আমাদের বেশি বেশি পড়তে হবে। রাজনীতি যে একটা মহান আদর্শ, সেই আদর্শের জন্য প্রয়োজনে দেশের তরে জীবনও বিসর্জন দিতে হয়, প্রীতিলতা আমাদের সেই শিক্ষাই দেন।

জিয়াউর রহমানের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদদের কেনবেচা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি নেতাদের অতীত দেখলেই বোঝা যায়। তারা বিভিন্ন দলে ছিলেন। তারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিষ্ঠার জন্য। বিএনপি এবং তার নেতাদেরও কোনো আদর্শ নেই। বর্তমান বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতার এটি একটি অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, বিএনপি থেকে অনেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। ২০ দল থেকেও অনেকে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেকেই যাবেন। যে দল জঙ্গিদের সহযোগিতায় প্রতিপক্ষকে বোমা হামলা করে ঘায়েল করতে চায়, প্রতিপক্ষকে হত্যা করে নির্মূল করতে চায়, তারা কখনও রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এটি একটি সন্ত্রাসী দল। আন্তর্জাতিক আদালতও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দলের আখ্যা দিয়েছেন।
 
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্মটা সঠিক না হলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা টিকে থাকুক, এটা আমরাও চাই। বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে, বিএনপিকে সন্ত্রাসী দলের তকমা থেকে বের হতে হলে, নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে বলে আমি মনে করি।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ। পরিচালনা করেন শেখ নওসের আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এমএ করিম প্রমুখ।