প্রথম সিটি নির্বাচনে ইভিএমে উৎসবমুখর ভোট
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ৫ মে ২০১৯ রোববার
দেশের দ্বাদশ সিটি কর্পোরেশন ময়মনসিংহে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে। আর প্রথমবারই ময়মনসিংহবাসী ভোট দিচ্ছেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচনে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে।
যদিও সিটি কর্পোরেশনে মেয়র প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তবুও ভোটাররা উৎসবের সঙ্গে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন। শুরুতে যন্ত্রে ভোট দেয়ার পদ্ধতি বুঝতে কারও কারও সমস্যা হলেও শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক হাসান বলেন, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের ধারণা কিছুটা কম থাকলেও তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন।
নগরীর শাখারীপট্টি প্রবাহ বিদ্যানিকেতনের প্রিজাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইভিএমএমে ভোট দেওয়ার বিষয়টা বুঝতে কিছু কিছু ভোটারের সমস্যা হয়েছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বলেন, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয়, সে বিষয়ে তিন দিন নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুকে গত ১৭ এপ্রিল মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইকরামুল হক টিটু পৌরসভার বিলুপ্তির পর নতুন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
রোববার ভোট হচ্ছে ৩৩টি সাধারণ এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭০ জন। আর সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২৪২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে থেকে নিজেদের জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন আনসার সদস্য ও তিনজন করে পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের একটি করে মোবাইল টিম এবং মোট ১১টি স্ট্রাইকিং টিম রয়েছে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন জন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুরো নির্বাচনী এলাকায় ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
