বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১১ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ১২ লাখ মানুষ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:১৪ এএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ ধেয়ে আসায় ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলাগুলোর ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণির গতিবিধি বিষয়ক ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব তথ্য জানান।

এ উপকূলীয় জেলাগুলো হচ্ছে- ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো।

ব্রিফিংয়ে এনামুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরেও স্কুল-কলেজের ভবনগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো দুঃসংবাদ নেই। সবকিছু জেলা প্রশাসকরা ম্যানেজ করছেন। জেলা প্রশাসকদের সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে ৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ আছে।

এনামুর রহমান বলেন, এই দুর্যোগে জানের সঙ্গে আমরা মালেরও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসুন। ফেলে আসা বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের নিরাপত্তা দিতে সরকার সচেষ্ট। এ সময় ‘ফণির’র গতিবিধির খবর জানতে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতের উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি একই এলাকায় অবস্থান করছে।

বুলেটিনে আরো বলা হয়, এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে মধ্যরাত থেকে সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ ও এর উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।