‘আজ সন্ধ্যার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হবে’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ এএম, ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার
ঘূর্ণিঝড় ফণি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এদিন সকাল থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি ব্যাপক শক্তি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভারতের এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে, যার অংশ হিসেবে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়।
সভার শুরুতেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল শুক্রবার সকালে কাজ শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ সময় তিনি প্রথমে নারী, শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার পর সেখানে (ওইসব অঞ্চলে) পাহারা রাখতে হবে, শেল্টারগুলোও পাহারায় রাখতে হবে।
এছাড়া সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের নিরাপত্তায় সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।
উপকূলীয় ১৯ জেলায় তিন হাজার ৮৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সভায় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুরো বাংলাদেশ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে, এই সময়টা হবে ক্রিটিক্যাল। উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারা রাত বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। বাংলাদেশ যখন অতিক্রম করবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ভালো প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, আমরা মোকাবিলা করতে পারব, প্রাণিসম্পদও রক্ষা করতে পারব।
