বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১১ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

ঘূর্ণিঝড় ফণী

আশ্রয়কেন্দ্রে না গেলে পুলিশ দিয়ে নেয়া হবে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করতে ১৯ জেলার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে অনেকে নিজে থেকেও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। তবে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, জোর করে হলেও তাদের সরিয়ে নেয়া হবে। প্রয়োজনে পুলিশ দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার উপকূলীয় জেলার একাধিক ডিসির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না চাইলে তাদের বাধ্য করা হবে। সেজন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে কোলে করে নিয়ে যাবো।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত বেড়ে গেলে যে কোনো মূল্যে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের সেরকম প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ-আনসারও প্রস্তুত। 

কক্সবাজারের ৫৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। অনেকে এইরমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন।

বরগুনার ডিসির কবীর মাহমুদ বলেন, আট নম্বর সতর্ক সংকেত দিলে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেবো। ৩ হাজার ৩৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ লোককে নেয়া যাবে। এছাড়া স্কুলভবন, মসজিদসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে নিতে পারবো আরো চার লাখ মানুষকে। সব মিলিয়ে ছয় লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া যাবে। 

ভোলার ডিসি মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় সাত উপজেলায় ৮০ সদস্যের ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় মোট ২ হাজার ৪৮৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।