জঙ্গি ইস্যুতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: মনিরুল
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদের ঝুঁকিটা আগের চেয়ে বেড়েছে। দুই মাস আগেও এ ঝুঁকির যে মাত্রা ছিল, বর্তমান সে মাত্রা বেশি। তবে এটা নিয়ে বিশেষভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত ‘বিশ্ব সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পরে ‘উগ্রবাদীরা প্রতিশোধ নেবে’ এ রকম দুশ্চিন্তা অনেকের মধ্যে দেখেছি। সেটা নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া শ্রীলংকার ঘটনার পরে তারা আরো বেশি উত্তেজিত হয়েছে। ‘ওরা পারলে আমরা কেন পারব না’ এরকম একটা ধারণা রয়েছে তাদের মধ্যে। তবে এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু উগ্রবাদীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে, সেহেতু তারা হামলা করার চিন্তা করতে পারে। আমাদের চিন্তায় সেটি আছে, তৎপর রয়েছি; নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের এ আশঙ্কা নস্যাৎ করতে পারব।
বাংলাদেশ থেমে থেমে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কখনো কখনো রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। যারা উগ্রবাদে জড়িত তাদের অনেকেই এর ভিত্তিটা বোঝে না। এরা কিন্তু কোনো কোনো সময় ভিকটিমও।
মনিরুল বলেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী,পেছনে কে আছে, এরা তা দেখতে পায় না। ফলে এই লোকগুলোই উত্তেজিত হয় কারণে-অকারণে। কারণ আমরা হলি আর্টিজানের পরে দেখেছি যে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো যেগুলো ছিল তা ভেঙে গেছে। অনেকগুলো বড় বড় পরিকল্পনা ছিল, ওই হামলার পর সেগুলোও তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে একটা চেষ্টা হয়েছে। আমরা সবটা বলতে পারি না কারণ মানুষ আতঙ্কিত হবে। হলি আর্টিজানের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এখনো অনেক বিদেশি জিজ্ঞেস করে কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাবে, কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাবে না।
জঙ্গি ইস্যুতে সাংবাদিকদের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে মানুষকে প্রভাবিত করে। ফলে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দ ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে। ধর্মীয় কিছু শব্দ রয়েছে সেসব শব্দের ব্যাখ্যা আছে। এরা কেউ মুজাহিদ না, এরা জিহাদ করছে না। এদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, শহীদ হিসেবে আখ্যা করলে এ কথাগুলো ধর্মপ্রাণ কেউ কেউ হয়তো উদ্বুদ্ধ হতে পারে। তাই লাদেন কিংবা বাংলাদেশের তামিমদের এমনভাবে চিত্রায়িত করা যাবে না যে তাদেরকে অনুকরণীয় মনে করা যায়। এ দায়িত্ব মিডিয়ার।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট মাসুম বিল্লাহ নাফি।
