জামায়াতের খোলস বদল ভালো লক্ষণ নয়: আব্দুর রহমান
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের খোলস বদলানো ভালো লক্ষণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসা কর্মীদের দ্বারা গঠিত ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এখন খোলস পাল্টিয়েছে, তারা জার্সি বদল করেছে। এই জার্সি বদলের লক্ষণ কিন্তু ভালো নয়। তারা আগের নাম পরিবর্তন করে ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে তাদের মূল রাজনীতির জায়গাতেই থাকতে চায়।
বৈঠকে জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। অনেক সংসদ সদস্য দলের বিপক্ষে কাজ করেছেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থী মানোনয়ন পাননি বলে তারা নিজেদের প্রার্থী দিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন। প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া শেখালাম, এটা কিন্তু দলের জন্য ভালো নয়। এর ভোগান্তি আমাদের নিজেদের ভুগতে হবে, যদি না সহসাই আমাদের মধ্যের বিবাদ, ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলতে না পারি। সুতরাং আমাদেরকে এই কাজগুলো সামনে নিয়ে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত দল ভারী করার জন্য জামায়াত-শিবির এবং আমাদের রাজনীতির কমিটেড লোক নয় এমন লোকদের আমরা দলের মধ্যে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে লালন পালন করে বড় করছি। সুতরাং এই বিষয়গুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যেন আমাদের দলের মধ্যে আর স্থান না পায়। তারা যদি এই দলে জায়গা করে নেয় তাহলে আমাদের জন্য অনেক বিপদ অপেক্ষা করবে। এইগুলো আমাদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আমাদের নেত্রী অনেক পরিশ্রম করেন, দিনরাত পরিশ্রম করেন। এই দল যদি আমরা সুসংগঠিত করতে না পারি তাহলে মসৃণ চলার পথটি আর থাকবে না।
তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামো সুদৃঢ় করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি আমাদের নেত্রী সময়মত সম্মেলনটা করতে চান। এই সম্মেলন করতে হলে বিভিন্ন থানা পর্যায়ের সম্মেলন করা, জেলা সম্মেলন করা, যেখানে মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে সেগুলো ঠিক করা, মূলত আমাদের কাউন্সিলর তালিকাগুলো সুস্পষ্টভাবে কেন্দ্রে নিয়ে আসা। এমন জায়গা রয়েছে যেখানে সম্মেলন হওয়ার পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পর্যন্ত হয়নি। আবার কোথাও কিছু কমিটি হয়েছে। কিছু কমিটি হয়নি, সেগুলো ঠিক করা।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
