বৃহস্পতিবার   ২৮ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ১৩ ১৪৩২   ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘আমাদের সম্পর্ক লোহার মতো শক্ত’

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক লোহার মতো শক্ত, যা সহজে ভাঙার নয়। পাকিস্তানের বেইজিং সফররত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন জিনপিং।

রবিবার, বেইজিংয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সব সময়েই চীনের বন্ধু। চীন আর পাকিস্তানের মধ্যে ‘লৌহ বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক। যা সহজে ভাঙার নয়। দু’দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলির সুরক্ষায় বরাবরই একে অন্যকে সমর্থন করে এসেছে। আগামীতেও এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

চীনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ফোরামের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৫ এপ্রিল বেইজিংয়ে আসেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের সম্মেলন শেষ হওয়ার পর রোববার চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিজিনপিং ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াঙের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। বৈঠকে দু দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ও করাচি-পেশওয়ার রেললাইনের সম্প্রসারণসহ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পরে বেইজিংয়ের তরফে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, দু’দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিবৃতিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বা আঞ্চলিক পরিস্থিতির কতটা কী পরিবর্তন হল, তার উপর কিছুই নির্ভর করছে না। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় বেইজিং সব সময়েই ইসলামাবাদের পাশে থাকবে।’

পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে বালাকোটের ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রশমনে চীনের উপ-বিদেশমন্ত্রী কং শুয়ানইউকে ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিল বেইজিং।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার নিয়েও চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রীর। চীন ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য দেশই চাইছে মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ঘোষণা করা হোক। পর পর তিন বার চীন সেই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা এখনও সম্ভব হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বেইজিং সরকার যেন এ ব্যাপারে তার অবস্থান না বদলায় পাক প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।তবে বেজিংয়ের সরকারি বিবৃতিতে তার কোনও উল্লেখ নেই।