হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

হিট স্ট্রোক হচ্ছে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতা। গরমের সময় হিট স্ট্রোক দেখা দেয়।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পে মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং পিপাসা পায়। এর পরের ধাপে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। দুই ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে এবং ঘামতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। হিট স্ট্রোকগুলো হলো শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়। নিঃশ্বাস দ্রুত হয়। নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়। রক্তচাপ কমে যায়। খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্ন ইত্যাদি। এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
সুতির হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা। ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা। বাইরে সব সময় ছাতা ব্যবহার করা। প্রচুর বিশুদ্ধ পানি ও তরল পান করা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এমন পানীয়, যেমন চা ও কফি কম পান করা। রোদের মধ্যে থাকলে কিছু সময় পরপর স্যালাইন খাওয়া।
করণীয়
প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে ব্যবস্থা নিলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। যদি সম্ভব হয়, ফ্যান বা এসি ছেড়ে বিশ্রাম নিন। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলা। সম্ভব হলে গোসল করুন। প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন পান করুন।
যদি হিট স্ট্রোক হয়ে যায়, তবে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রথমে রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যেতে হবে। গায়ের কাপড় আলগা করতে হবে। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করতে হবে। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুঁচকিতে বরফ দিন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। খেয়াল রাখবেন হিট স্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং নাড়ি চলছে কি না। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে।