সোমবার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২   ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ত্বক ও স্বাস্থ্য রক্ষায় তরমুজের ১০টি গুণ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

গ্রীষ্মকালে প্রায় প্রত্যেকে ঘরেই তরমুজ পাওয়া যায়। সুমিষ্ট রসালো এই ফলটির জনপ্রিয়তা বরাবরই। গ্রীষ্মকালীন ফলের শীর্ষে অবস্থানকারী তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা বহুল। শুধু স্বাস্থ্য নয় বরং ত্বকের যত্নেও এটি অত্যাধিক ফলপ্রসূ। ত্বক ও স্বাস্থ্য রক্ষায় তরমুজের ১০টি গুণ সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ত্বকে মেছতা হলে সেটা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ যা শরীরের ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। 

২. তরমুজ ত্বকের রোদে-পোড়া ও কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তরমুজের রসকে বরফ করে সেটা স্কিনে আলতো করে ঘষতে পারেন। এছাড়াও তরমুজের রসে কটন প্যাড ভিজিয়ে ত্বকের রোদে পোড়া জায়গায় দিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে উঠিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 

৩. স্পর্শকাতর ত্বকের যত্নেও তরমুজ ব্যবহৃত হয় কিন্তু! এর পিউরিতে নরম ফাইবার থাকে যা ডেড স্কিন দূর করে স্কিন পরিষ্কার করে এবং কালচে ভাব কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তবে জেনে নিন দুটো প্যাক সম্পর্কে- 
* তরমুজের পিউরির সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে মিক্সচারটি আস্তে আস্তে ঘঁষে ১৫ মিনিট রেখে তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* তরমুজের পিউরি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য চিনি মিশিয়ে মিশ্রণটিকে স্কিনে আলতো করে রাব করে ১৫ মিনিট রেখে তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪. বিজ্ঞানীদের মতে, তরমুজে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান যা হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, তরমুজে ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও কেরোটিন আমাদের দেহের কোলেস্টেরল কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে, যার কারণে আমাদের হৃদপিন্ড সবসময় যেকোনো রকমের বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষিত থাকে।

৫. তরমুজে আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন যা চোখের রেটিনার সুরক্ষিত রাখতে অধিক কার্যকর এবং এই উপাদানগুলো চোখের ছানি পড়তে বাধা সৃষ্টি করে। তরমুজের ভিটামিন এ চোখের জ্যোতি বাড়ায়।

৬. তরমুজে আছে অধিক পরিমাণে পানীয় উপাদান যেগুলো কিডনির উপর চাপ কমিয়ে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়। তরমুজ  কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে অনেক উপকারি। যারা পানি কম খান তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকে। আবার যাদের পাথর হয়ে যায় তারা এর ব্যথায় অনেক কষ্ট পান। তারা যদি খাদ্য তালিকায় তরমুজ রাখেন তাহলে ব্যথা থেকে কিছুটা উপকার পাবেন।

৭. তরমুজে আছে লাইকোপিন নামে এক ধরনের লাল উপাদান যাতে আছে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দিন দিন দুর্বল হতে থাকে আর তাই তরমুজ নিয়মিত খেলে তা হাড়ের গঠন সুস্থ  ও মজবুত করতে খুবই সহায়ক।

৮. তরমুজে থাকা প্রচুর ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম আমাদের দেহের ব্লাড প্রেশার নরমাল রাখে। তাই খাদ্যতালিকায় তাদের নিয়মিত তরমুজ রাখা উচিত যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন।

৯. অনেক মানুষ বাত বা মাংসপেশির ব্যথায় ভোগেন অথবা ব্যায়ামের পর শরীরের ব্যথায় কষ্ট পান। এর থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিবার ব্যায়ামের পর অথবা ব্যায়াম করার কমপক্ষে আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা আগে তরমুজ খেলে এই ব্যথা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

১০. যাদের অনেক শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা আছে তারা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত তরমুজ রেখে হাঁপানি প্রতিকার করতে পারেন। এছাড়া যাদের প্রচুর ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত তরমুজ খান তাহলে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ তরমুজে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা অ্যালার্জি বা হাঁপানি সারিয়ে তুলতে অনেক কার্যকর।