বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১১ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

চট্টগ্রাম পৌঁছেছে যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন দুটি যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। শিগগিরই জাহাজ দুটি নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হবে।

শনিবার চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে এসে পৌঁছায় জাহাজ দুটি। চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবু আশরাফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’কে স্বাগত জানান। জাহাজ দুটির আগমন উপলক্ষে নেভাল জেটিতে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক নাবিক উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নবনির্মিত জাহাজ বানৌজা সংগ্রাম ও বানৌজা প্রত্যাশার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ মিটার। জাহাজ দুটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। শত্রুবিমান, জাহাজ ও স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজ দুটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধসরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।

জাহাজ দুটিতে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় মোতায়নযোগ্য এ জাহাজ দুটির মাধ্যমে বিশাল সমুদ্র এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও জলদস্যুতা রোধ, সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দকৃত ব্লকসমূহের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নৌবহরে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধ-সরঞ্জামে সুজ্জিত যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট। সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য গণচীনে নির্মিত দুটি করভেট নির্মাণের লক্ষ্যে চীনের শিপবিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরের বছর ৯ আগস্ট জাহাজ দুটির স্টিল কাটিংয়ের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয় ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’।

জাহাজ দুটি গত ১২ এপ্রিল চীনের সাংহাই বন্দর থেকে যাত্রা করে ইয়ানতিয়ান বন্দর ও মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর হয়ে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে শনিবার চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে এসে পৌঁছায়।