বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অবিশ্বাস্য ওপেনিং জুটি, টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:২৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

আবাহনী লিমিটেডের জন্য সরল সমীকরণ ছিল। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারাতে পারলেই আর কোনো হিসেব নিকেশের দরকার পড়বে না, জানাই ছিল। তাই বলে এভাবে?

শেখ জামাল যে একেবারে সহজেই আবাহনীকে ছাড় দিয়েছে, এমন নয়। বরং তারা যখন ৯ উইকেটে ৩১৭ রানের পাহাড়সমান সংগ্রহ গড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেনের দলকে। কে জানতো, আবাহনীর দুই ওপেনার এই রানকে মামুলি বানিয়ে ছাড়বেন!

অবিশ্বাস্য কাণ্ড! ৩১৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর জহুরুল ইসলাম গড়লেন ৩১২ রানের জুটি। যে জুটিতে ভর করেই ১৭ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আবাহনী। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপাও হাতে তুলেছে আকাশি-হলুদরা।

আবাহনীর দুই ওপেনার যেমন ব্যাটিং করেছেন, তার জবাব দেয়ার উপায় আসলে ছিল না শেখ জামালের বোলারদের। আলাদা করে বলতে হয় সৌম্যর কথা। বিশ্বকাপ দলে থাকা এই ব্যাটসম্যানের অফফর্ম নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল।

সেই সমালোচনা মাথায় নিয়েই গত ম্যাচে তুলে নেন ঝড়ো এক সেঞ্চুরি। এবার আর সেঞ্চুরিতে থামা নয়, সৌম্যর উইলো থেকে বেরিয়ে এলো অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি। যেটি আবার বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের রেকর্ড।

এই সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত আর আউট করতে পারেননি শেখ জামালের বোলাররা। বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছেন সৌম্য। ১৫৩ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে, যে ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কা বেশি। ১৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে বাঁহাতি এই ব্যাটিং জিনিয়াস ছক্কা হাঁকান ১৬টি!

সেঞ্চুরি পান তার সঙ্গী জহুরুলও। আবাহনীর জয় তখন নিশ্চিত হয়ে গেছে, ৬ রান বাকি। কাটায় কাটায় ১০০ করে জহুরুল ফেরেন ইমতিয়াজ হোসেনের শিকার হয়ে। তারপর তাইজুল ইসলামকে এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন বিধ্বংসী সৌম্যই।

এর আগে তানবীর হায়দারের ১৩২ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ৩১৭ রান তুলেছিল শেখ জামাল। এছাড়া ইলিয়াস সানী ৪৫ আর মেহরাব হোসেন করেন ৪৪ রান।

আবাহনীর পক্ষে ৫৬ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।