সোমবার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২   ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ত্বক ভাল রাখতে অ্যালোভেরার কোনো বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক উপায়ে সৌন্দর্যের একেবারে চূড়ায় পৌঁছাতে চাইলে আপনার জন্য সঠিক মাধ্যম হতে পারে এই উপাদানটি। কারণ অ্যালোভেরা শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেনা, সেইসঙ্গে নানা ধরনের স্কিন প্রবলেমকেও দূরে রাখে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, নানা ধরনের ত্বকের জন্য নানাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালোভেরা। এতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিউটি প্রোডাক্ট হিসাবে অ্যালোভেরার জনপ্রিয়তা অনেক। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে ল্যাকটিন, মেনাস এবং পলিস্যাকারাইড। এই উপাদানগুলি নানাভাবে ত্বকের উপকার করে থাকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যাবহারগুলো- 

১. অ্যালোভেরা ও শসা
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বক, ময়লা এবং ত্বকে জমতে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদানকে পরিষ্কার করতে এই ফেইস মাস্কটি দারুণ কাজে দেয়। এছাড়া যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। 

২. অ্যালোভেরা ও গোলাপ জল
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ড্রপ গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বককে স্বাভাবিক করতে এই ফেইস মাস্কটি দারুণ কাজে আসে। ব্রণ এবং কালো ছোপ আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

৩. অ্যালোভেরা, দুধ ও হলুদ
উজ্জ্বল এবং নরম ত্বক পেতে দুধ, হলুদ এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে বানানো এই ফেইস মাস্কটি আপনাকে সাহায্য করবে। হলুদে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ব্রণের প্রকোপ কমায়। অপরদিকে, অ্যালোভেরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আর কাঁচা দুধ ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। ফলে ত্বক নরম হয়।

৪. অ্যালোভেরা ও নিম পাতা
ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি স্কিন-এর শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে প্রাণোচ্ছল বানাতে অ্যালোভেরার উপকারিতা অসীম। অ্যালোভেরা ও নিম পাতা এই ২ টি উপাদান মিলিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেইস মাস্কটি লাগাবেন। তাহলে ভাল ফল পাবেন। 

৫. অ্যালোভেরা ও লেবু
যাদের স্কিন ড্রাই তাদের জন্য এই ফেইস মাস্কটি একেবারে পারফেক্ট। কারণ অ্যালোভেরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা ব্রণ এবং চুলকানি কমায়। এছাড়া এই প্রাকৃতিক উপাদানটি লাগালে স্কিন আর্দ্র হয়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। পরিমাণমতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে এক ড্রপ লেবুর রস দিয়ে ভাল করে দুটি উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। 

৬. অ্যালোভেরা ও ওটমিল
ত্বকের উপরি অংশে জমতে থাকা মৃত কোষদের পরিষ্কার করে ফেলতে এই ফেইস মাস্কটি বেশ কাজে লাগে। অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং ওটমিল মিশিয়ে এই ফেইস মাস্কটি বানিয়ে সেটি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৭. অ্যালোভেরা ও মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি এবং অ্যালোভেরা জেল, এই দু’টিতেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকে প্রবেশ করে বিষাক্ত উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়। ১ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৮. অ্যালোভেরা ও মধু
যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য এই ফেইস মাস্ক-টি দারুণ কার্যকরী। কারণ মধু এবং অ্যালোভেরা, উভয়ই ত্বকের অতিরিক্ত তেলাভাব কমায়, শুধু তাই নয় স্কিনের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলোকেও খুলে দেয়। ফলে ময়লা ধুয়ে গিয়ে ত্বক সুন্দর হতে শুরু করে। তাই এক চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণমতো অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেইস মাস্কটি ধীরে ধীরে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন যদি এই ফেইস মাস্কটি মুখে লাগাতে পারেন তাহলে অল্পদিনেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করেছে।