১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ সময়ের দাবি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডাক্তার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ভাইভায় অংশ নেয়া চাকরি প্রত্যাশীরা। একটি আবেদনে এমন দাবি করেছেন তারা।
আবেদনে তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বর্তমান স্বাস্থ্যবান্ধব সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছে দিতে এডহক এবং ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে ১১ হাজারের উপরে চিকিৎসক নিয়োগ করেন। সরকারের সময়োপযোগী এই পদক্ষেপে শিশুমৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করি। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনা এমডিজি-৪ ও সাউথ সাউথ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন হামপাতাল নির্মাণ, নতুন মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট স্থাপিত হয়েছে।
এছাড়া ১৯৮২-৮৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তাররা চলতি বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন। এমতাবস্থায় চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে এবং সার্বোজনীন স্বাস্থ্যসেবা রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। এই প্রতিবন্ধতা মোকাবেলার জন্য বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের অনুমতি প্রদান করেন। ফলশ্রুতিতে অনেক আইন ও নীতিমালা সংশোধন করে পিএসসির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। যেখানে ১৪ হাজার চিকিৎসক লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীন্ন হয়। সম্প্রতি ভাইভা শেষ হয়েছে। এখন ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ সময়ের দাবি।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদনে বলা হয়, তবে আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সরকারী কর্ম কমিশনের কাছে সার্কুলারের বাহিরে নিয়োগের জন্য অনুমোদন যায়নি। এমতবস্থায় সরকারী কর্ম কমিশন স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি প্রদান করেছে যাতে এ বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও আন্তরিক সর্বোচ্চ সংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ প্রসঙ্গে। আপনার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি ১৪ হাজার উর্ত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা, যারা গ্রামে গিয়ে নিজেদের পরিশ্রম ও স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আপনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মধ্যে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর।