শনিবার   ০৯ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ২৫ ১৪৩২   ১৪ সফর ১৪৪৭

বৈসাবি উৎসব: কোথায় কী হবে দেখে নিন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

ত্রিপুরা, মারমা, চামকাদের যথাক্রমে বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু উৎসবের মিলিত রূপ বৈসাবি। এটিই পাহাড়ের সবচেয়ে বড় উৎসব। ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূলত বিজুর আনুষ্ঠিকতা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনকে চাকমা ভাষায় ফুল বিজু, দ্বিতীয় দিনকে মূল বিজু এবং তৃতীয় দিনকে নুয়াবঝর বা গোজ্যা পোজ্যা দিন বলা হয়। এভাবেই ত্রিপুরারা প্রথম দিনকে হারিকুইসুক, দ্বিতীয় দিনকে বুইসুকমা এবং তৃতীয় দিনকে বিসিকাতাল নামে অভিহিত করে। বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে তিনদিন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। পাহাড়ের বাসিন্দারা মহা সমারোহে পালন করে তাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি। এই উৎসবকে ঘিরে কোথায় কী হবে জেনে নিন-

রাঙামাটি: বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু, চাংক্রান-২০১৯ উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ৬টায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের পূর্বঘাটে ফুল ভাসায়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়, ওই উদ্যাপন কমিটির তিন দিনের কর্মসূচি। স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশনের উদ্যোগে সকালে ফুল ভাসানো হবে শহরের তবলছড়ির কেরানি পাহাড় ঘাটে। ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন ভাসাবে গর্জনতলী ঘাটে। এরপর আগামী ১৫ এপ্রিল শুরু হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব। ওইদিন জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীর নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বজনীন জলোৎসবের আয়োজন করেছে মারমা সম্প্রদায়ের সংগঠন মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসাস)।

খাগড়াছড়ি: শুক্রবার সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে চাকমাদের বর্ষবরণ। ১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। এদিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সঙ্গে সব বয়সী মানুষ নদী, খাল অথবা ঝরনায় গঙ্গা দেবীর পূজা করবেন। ১৪ এপ্রিল পালিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব এবং বাংলা নববর্ষের র‌্যালি। এদিকে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। 

 

বান্দরবান: বান্দরবানে চাংক্রান উৎসবে ঐতিহ্যবাহী গোহত্যা নৃত্যে মেতেছে ম্রো সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবানের টংকাবতী ইউনিয়নের দুর্গম সাক্ষ্যয় পাড়ায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।