‘এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব রংপুর থেকেই হতে হবে’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব রংপুর থেকেই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যারয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে অনির্ধারিত বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশের স্বার্থে সারা জীবন রাজনীতির মাঠেই থাকব। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। তবে দলের শৃংখলা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যতদিন বেঁচে আছেন তিনিই আমাদের নেতা। উত্তারাঞ্চলের মানুষ মনে করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব তার পরিবার এবং রংপুর থেকেই হতে হবে। কারণ দেশের মানুষ ও পার্টির নেতাকর্মীরা এমন নেতৃত্বই আশা করেন।
উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জিএম কাদের বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ মনে করে জাতীয় পার্টি তাদের পক্ষের কথা বলার জন্যই একক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে অবহেলিত উত্তারাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কৃতজ্ঞচিত্তেই মনে রেখেছে সেই এলাকার কোটি মানুষ।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে ঐতিহাসিকভাবেই নেতৃত্বে রক্তের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বংশ পরম্পরায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব আশা করেন তারা। কারণ উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ভালোমন্দের সাথে তাদের জীবন জড়িত। তাই উত্তরাঞ্চলের মানুষ চায় জাতীয় পাটির নেতৃত্ব উত্তর বঙ্গ থেকেই আসুক।
জাতীয় পার্টির আগামী দিনের রাজনীতি প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, অবশ্যই জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং দেশের স্বার্থেই জাতীয় পার্টি বেঁচে থাকবে। কারণ জাতীয় পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিবাচক রাজনীতির নেয়ামক শক্তি। তাই জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সংগঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সারাদেশের সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদের সামনে সত্য প্রমাণিত হয়নি। নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখতে পার্টির নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক মো নিজাম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. আবু তৈয়ব, জয়নাল আবেদীন, সোলায়মান সামি, তাছলিমা আক্তার, ঝোটন দত্ত, সরদার নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন তোতা, নুরুল ইসলাম, জিসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
