মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৯ ১৪৩২   ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আপনার ‘স্বাস্থ্যকর’ স্মুদিটি কি আসলেই স্বাস্থ্যকর?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

সকালের নাস্তা বা ব্যায়ামের পর পেট ভরানোর জন্য দারুণ একটি পানীয় স্মুদি। এটি পেট ভরা রাখে বেশিক্ষণ, এ ছাড়া ফল ও সবজি থাকায় এটিকে স্বাস্থ্যকর বলেই ধরা হয়। কিন্তু আপনার এই স্মুদিতে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ফল থাকে, তাহলে তা বরং অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। 

সঠিক উপায়ে তৈরি করলে যদিও এক গ্লাস স্মুদি খুবই পুষ্টিকর, কিন্তু তাতে ফল দিতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত ফল দিয়ে ফেললে এতে চিনির পরিমাণ খুব বেড়ে যাবে। এমনকি কোক-পেপসির কাছাকাছি চলে যেতে পারে চিনির পরিমাণ, যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।  

ফলের জুস তো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়, কারণ তাতে ফাইবার থাকেই না। স্মুদি তৈরির সময়েও এক কাপের বেশি ফল দেওয়া উচিত নয়। যেমন আধা কাপ স্ট্রবেরি ও অর্ধেকটা কলা দুধের সাথে মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। এর সাথে দিতে হবে সবজি, এবং দুধটা হতে হবে চিনিমুক্ত। দুধের বদলে সাধারণ টক দই, নারকেল বা ডাবের পানিও ব্যবহার করতে পারেন।

স্মুদি তৈরির সময়ে আরও একটি ভুল হলো যথেষ্ট ফাইবারযুক্ত উপাদান ব্যবহার না করা।  আম বা আনারসের মতো ফলগুলো স্মুদিতে দিলে ফাইবার কম হয়।  এগুলোর বদলে বেশি ফাইবার আছে এমন ফল যেমন আপেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর উপায়ে স্মুদি তৈরি করবেন কী করে? খুব বেশি হলে এক কাপ ফল, এর সাথে প্রচুর সবজি বা শাক দিতে হবে, যেমন কচি পালং শাক।  এই শাকের সাথে দিতে পারেন অর্ধেকটা কলা এবং বেরি জাতীয় আধা কাপ ফল, যেমন স্ট্রবেরি, আঙ্গুর, জাম ইত্যাদি। এই ফলগুলো ফ্রিজারে রেখে হিমায়িত করে এরপর স্মুদিতে দিতে পারেন, এতে স্মুদি ঘন হবে।  ফলের সাথে দিতে পারেন ১-২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার, ১-২ টেবিল চামচ বীজ যেমন চিয়া সিডস, বা ফ্ল্যাক্স সিডস। এতে দেওয়া যেতে পারে আধা কাপ দই, একটি অ্যাভোকাডোর চারভাগের একভাগ ও এক স্কুপ প্রোটিন পাউডার। স্মুদির বেস হিসেবে দুধের বদলে দেওয়া যেতে পারে আমন্ড মিল্ক বা ডাবের পানি।  তবে সয়া মিল্ক দেওয়াটা বেশি ভালো কারণ এতে ফাইবার থাকে বেশি।