গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগে চতুর্থ স্যামসাং
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৩০ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

বৈশ্বিক এক হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতে গত এক বছরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চতুর্থ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে স্যামসাং। বৈশ্বিক অ্যাকাউন্টিং এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপার্স (পিডব্লিউসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ এক বছর আগের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছর মোট বিক্রির ৬ দশমিক ৮ শতাংশই বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে গত দুই বছরের মতোই চতুর্থ অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করেছে।
পিডব্লিউসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে শুরু করে পরবর্তী এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ করেছে ২ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যালফাবেট নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল এবং জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়াগন। গত এক বছরে দুই প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগ করেছে যথাক্রমে ১ হাজার ৬২০ কোটি এবং ১ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার।
গত বছর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে পরবর্তী এক বছরে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ইন্টেলের বিনিয়োগ ২ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়লেও পিডব্লিউসির তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতের অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ১ হাজার ৩১০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রতিষ্ঠানটি।
পিডব্লিউসির তালিকায় ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে রয়েছে মাইক্রোসফট ও অ্যাপল। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে এ দুই প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৩০ কোটি ডলার এবং ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার।
গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ষষ্ঠ অবস্থানে জায়গা পেয়েছে স্যামসাং। এ তালিকায় শীর্ষ তিন অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে অ্যাপল, অ্যামাজন ও অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন।
পিডব্লিউসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক এক হাজার প্রতিষ্ঠানের গবেষণা এবং উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে পরবর্তী এক বছরে এসব প্রতিষ্ঠান গবেষণা ও উন্নয়নে মোট ৭৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্নয়নে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ প্রয়োজন। ব্যবসায় লক্ষ্য বাস্তবায়নে মেধাবী এবং পরিশ্রমী গবেষক নিয়োগ বাড়াতে হবে, যারা মানুষের প্রত্যহিক জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন। বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন এজ-টু-এজ প্রযুক্তি উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। যে কারণে গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, পিডব্লিউসি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৮৬৯ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।