স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের বিভিন্ন খাবার ও নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে অনেক সময় ভুল ধারণার কারণে সাধারণ কিছুকেও আমরা বড় অসুখ মনে করা শুরু করি। আর তখন সে রোগ না হলেও ভয়ে অনেক খাবার ও নিয়ম মানতে থাকি। ফলে এর প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে এবং ভাল করতে গিয়ে হয়ে যায় খারাপ। জেনে নিন স্বাস্থ্য নিয়ে কী কী ভুল ধারণা আমরা করি ও তার সেই সমস্যার সঠিক লক্ষণ।
ভুল কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ।
সঠিক কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়।
ভুল ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।
সঠিক ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হলো এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায় না।
ভুল ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার।
সঠিক প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ পাওয়া যায় না। একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।
ভুল বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ।
সঠিক হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না, হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে।
ভুল মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
সঠিক ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হওয়ার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।
ভুল প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
সঠিক প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।
ভুল ব্রেস্ট ফিডিং করা কালীন সময়ে সন্তানের (৬ মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না এ কারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই সন্তানের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
সঠিক মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না শিশুকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।
ভুল দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
সঠিক দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।
ভুল টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরিতে শুকায়।
সঠিক টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।
ভুল অস্বাভাবিক আচরণ, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভূত ধরা।
সঠিক এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।
ভুল প্রেগন্যান্ট নারীরা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে সন্তান বড় হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা সিজার করার জন্য এগুলো প্রেসক্রাইব করে।
সঠিক প্রেগন্যান্ট নারী আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।
ভুল প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
সঠিক সাদাস্রাব এবং অ্যামনিওটিক ফ্লুইড সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড। একটির সাথে অন্যটির কোনো সম্পর্ক নেই।
ভুল বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
সঠিক বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।