1. প্রচ্ছদ
2. বাংলাদেশ

যারা সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করে, স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতি করে তারা বিনাশ হোক। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ক্ষমতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের দল, ক্ষমতার বাইরে বিরোধী দলও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার। পরিষ্কার কথা, জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে মানুষের কল্যাণে, মানুষের সেবায়, সেটাই হবে রাজনীতি। 

শুক্রবার বিকেলে সুপ্রীমকোর্ট বার অডিটোরিয়াম, ঢাকায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে রাজনৈতিক দলসমূহের ভূমিকা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, আমি রাজনৈতিক নেতা হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি। আমার যদি টার্গেট থাকে আমার বিত্ত-বৈভব, বিশাল প্রাচুর্যের একটা জায়গা অর্জন করে আমি রাজনীতি করবো, এটা রাজনীতি হতে পারে না। 

মন্ত্রী আরো বলেন, ৩০লাখ শহীদের রক্তের বাংলাদেশ, অসম্প্রাদায়িক রাজনীতির বাংলাদেশ। চোখের দৃষ্টি বন্ধ করে মনের দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে দেখুন, যে পরিবারের একমাত্র সন্তান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলো, সে পরিবারের বিপন্ন অবস্থার কথা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমকক্ষ দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। মিয়ানমারের ১৬ লাখ মানুষ যখন অসহায় হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি তখন বিশ্বের অনেক বড় বড় রাষ্ট্র লম্বা বাণী দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। মানবতার জননী হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এটা অনন্য, অসাধারণ। এ জন্য সারা দুনিয়ায় সব জনপদের মানুষ শেখ হাসিনাকে বলেন মাদার অব হিউম্যানিটি। 

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসসহ যারা ভালো রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, গুণগত রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, সৃজনশীলতাই বিশ্বাস করেন তাদের সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এ দেশ সবার।

 

মন্ত্রী বলেন, রক্ত মাংসের দেহ নশ্বর, কীর্তি অবিনশ্বর। আমি যদি কিছু ভালো কাজ করে রেখে যেতে পারি, সেই কীর্তির মাঝে আমি বেঁচে থাকতে পারবো। নিজেকে নিয়ে নয়, দেশবাসীকে নিয়ে, প্রতিবেশীকে নিয়ে, আপনজনকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন এবং অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।