যত্ন নিন ‘কনুই ও হাঁটুর’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪১ এএম, ৫ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

কোমল ত্বকে কেউই দাগ চায়না। তারপরও বেশিরভাগ মানুষেরই হাঁটু বা কনুইয়ের ত্বকে কালচে দাগ পড়ে থাকে। আর এ দু’টি স্থানের যত্ন বরাবরই কম নেয়া হয়। হাঁটু ও কনুইয়ের দাগের পেছনে অনেক কারণই থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের এ অংশ একটু পুরু ও খসখসে হয়। এসব অংশে সহজেই ময়লা জমতে পারে। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে এমন দাগ হতে পারে। আবার ত্বকের অন্যান্য অংশ কোমল হলেও জিনগত কারণে অনেকের ত্বকের এ অংশ শুষ্ক থাকে। অপরিচ্ছন্নতা ও হরমোনও এমন দাগের অন্যতম কারণ। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কনুই ও হাঁটুর কিছু যত্ন-
১. ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
২. মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন এবং ১০ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. দুধ ও হলুদের মিশ্রণও একই ভাবে কাজ করে। এটিও ১০ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে।
৪. হালকা ধরনের টক দইয়ের সঙ্গে ভিনেগার বা লেবুর রস যোগ করে চক্রাকারে ত্বকে মালিশ করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। টক দই ত্বককে কোমল করে, দাগমুক্ত করে।
৫. প্রতিদিন ত্বকের এই অংশগুলোতে তেল মালিশ করুন। তবে তেলের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে এরপর মালিশ করলে বেশি উপকার পাবেন। নারকেল তেল, জলপাই তেল বা যেকোনো তেল বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে নারকেল তেলই বেশি ভালো। দিনের সুবিধামতো একটি সময় বেছে নিয়ে প্রতিদিনই এভাবে তেল ম্যাসাজ করুন। দেখবেন জমে থাকা ময়লাটা উঠে যাবে।
৬. ২ চা চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ দুধের মিশ্রণ তৈরি করে মালিশ করতে পারেন। দুধের পরিবর্তে পানিও দিতে পারেন। বেকিং সোডা ব্যবহার করুন খুবই সাবধানে। মালিশ করার সময় একটু গরম অনুভব হয়। ২ থেকে ৩ মিনিট মালিশ করে দেখুন সঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে কি-না। এরপর প্রয়োজনে ৫ মিনিট পর্যন্ত মালিশ করা যাবে, তবে এর বেশি নয়। কখনোই সরাসরি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেননা। বেকিং সোডা ধুয়ে ফেলার পর অবশ্যই ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
৭.ত্বকের মৃত কোষ তুলতে চিনি ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে জলপাই তেল বা মধু মিশিয়ে চক্রাকারে মালিশ করুন। তবে সেটা ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি নয়। এবার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব বেশি কালচে দাগ থাকলে শুরুর দিকে প্রতিদিনই এভাবে স্ক্রাব করতে পারেন। দাগ একটু কমে এলে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন করলেই চলবে।