শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মাইগ্রেন উপশমকারী খাদ্য

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

 

 

মাইগ্রেন উপশমকারী খাদ্য

ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেন নামটি শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে থাকেন। মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা কষ্টদায়ক তা একমাত্র রোগীই বলতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা টানা তিন দিন পর্যন্ত থাকে। মাথার একটা দিক সব সময় যন্ত্রণা করে। আলো ও শব্দে যেন ব্যাথা আরো বেড়ে যায়। এ যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে কি করতে হবে? কিছু কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়বে না। এ সমস্যা আস্তে আস্তে কিছুটা কমে আসবে। সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-

শিম বা বিনস জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরণের খাবারগুলো খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে। তাই বিনস, শিম অথবা মটরশুটি জাতীয় খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। সেগুলো খেলে ব্যথা বাড়তে পারে।

আচার খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে এ আচার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে, সবজির আচার বা শসার আচারগুলো জীবন থেকে একেবারে বাদ দিতে হবে। যদিও এটা খুব কষ্টকর। তারপর আচার না খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে।

 

আজকাল অনেক খাবারেই লাল ক্যাপসিকাম বা লাল মরিচ ব্যবহার করা হয়। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে এসব খাবার একদমই খাওয়া উচিত নয়। লাল ক্যাপসিকাম বা শুকনো মরিচের গুঁড়ো রান্নাতে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে সেসময় কলা খেলে ব্যথার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। কলাতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তারপরও কলাতে টাইরামিন নামক এক ধরণের উপাদান রয়েছে। যেটা মাথা ব্যথার যন্ত্রণাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ব্যথা অবস্থায় কোনোভাবেই কলা খাওয়া যাবে না। অনেক সময় ভাবতে পারেন, মাথা ব্যথা কলা দিয়ে কিছু খেয়ে নেই, কিন্তু মাথা ব্যথা অবস্থায় কখনোই কলা খাওয়া যাবে না।

মাইগ্রেনের রোগীদের লেবু বা লেবু জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ লেবু বা লেবু জাতীয় খাদ্যে টাইরামিন নামক একটি উপাদান থাকে। যা ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই মাইগ্রেনের সমস্যায় লেবু জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। অনেকেরই খুব পছন্দের খাবার হলো মিল্ক শেক ও চকলেট দুধ। এ ধরণের খাবার গুলো খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলোতে টেলিন ও ক্যাফেইন নামক উপাদান থাকে। যেটা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই মাথা ব্যথাকালীন সময়ে এ ধরণের খাবার খাওয়া যাবে না।

এছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেমন: অ্যালকোহল, রেখে দেয়া চিজ, মাদক দ্রব্য ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।