মিয়ানমারে পাঁচ শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ বন্ধ
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার
ফাইল ছবি
মিয়ানমার সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট শতাধিক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক। এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজের সঙ্গে বার্মিজ সেনাবাহিনীর গোপন যোগসাজশ রয়েছে বলে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে ৪২৫টি পেজ, ১৭টি গ্রুপ, ১৩৫টি অ্যাকাউন্ট এবং ১৫টি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো ছিল দৃশ্যত খবর, বিনোদন, রূপচর্চা ও লাইফস্টাইলভিত্তিক। তবে বাস্তবে এসব পেজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগসাজশ রয়েছে অথবা ইতিপূর্বে বন্ধ করে দেয়া কোনও পেজের নতুন সংস্করণ। বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এর আগে গত আগস্ট ও অক্টোবরেও রোহিঙ্গাবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে মিয়ানমারে অনেক অ্যাকাউন্ট ও পেজ ডিলিট করে দেয় ফেসবুক। দেশটিতে রোহিঙ্গা গণহত্যায়ও ফেসবুক ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সাধারণ বৌদ্ধদের উসকানি দেয়া হয়েছিল। এ ধরনের উসকানি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক।
এটি জাতিগত নিধনযজ্ঞের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি তা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে; এমন সমালোচনার মুখে গত এপ্রিলে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য নিয়ন্ত্রণের অঙ্গীকার করে সোশ্যাল মিডিয়াটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। এ লক্ষ্যে বার্মিজ ভাষায় কনটেন্ট পর্যালোচনায় সক্ষম অধিক সংখ্যক ব্যক্তিদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে ঘৃণা ছড়ানো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং তাদের ‘ব্যান’ করতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন জাকারবার্গ।
মিয়ানমারের সহিংসতাকে ‘ভয়ানক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করেন জাকারবার্গ বলেন, এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সেজন্য তার প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্টভাবে তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘৃণাত্মক বক্তব্যের সঙ্গে ভাষার বিষয়টি জড়িত রয়েছে। ফলে ফেসবুক বার্মিজ ভাষায় পারদর্শী আরও কয়েক ডজন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছে যারা কনটেন্ট পর্যালোচনায় সক্ষম।
স্থানীয় ভাষায় পারদর্শী ব্যক্তিদের ছাড়া এসব কিছু পদক্ষেপ নেয়া কঠিন। এ ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করছি। ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মিয়ানমারের নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ফেসবুক। মিয়ানমার এবং অন্যান্য যেসব দেশে এ ধরনের ইস্যু রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমন কিছু যেন না ঘটে সেজন্য ফেসবুকের একটি টিম সব সময় সজাগ রয়েছে বলে জানান ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা।