বৃহস্পতিবার   ১৪ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ৩০ ১৪৩২   ১৯ সফর ১৪৪৭

প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:১৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

 

 

প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে এক বিশ্বস্ততার নাম আইফোন। তাই দাম যতই হোক না কেন যারা একবার আইফোন ব্যবহার করেছে তাদের জন্য এটা ত্যাগ করে অন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করা এক প্রকার অসম্ভব! এ কারণে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অ্যাপল ১২০ কোটি আইফোন বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্মার্টফোন কোম্পানি অ্যাপল অন্যান্য কোম্পানির মতো একাধিক স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে না। প্রত্যেক বছর দু’টি এবং ব্যাতিক্রমভাবে ২০১৮ সালে ৪ টি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু বরাবরের মতো অ্যাপলের আইফোনগুলোর দাম যেন আকাশছোঁয়া। অনেকের মনে তাই প্রশ্ন জাগে কত টাকা ব্যয় করে অ্যাপল প্রত্যেকটি স্মার্টফোনের পেছনে আর কতই বা লাভ করে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানি আইফোন ফার্স্ট থেকে শুরু করে আইফোন এক্সআর পর্যন্ত ২০টি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে। চলুন জেনে নিন কোন আইফোনের ব্যয় কত ছিল আর কত দামে অ্যাপল সেটি বিক্রি করেছে-

 

1.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

১. আইফোন ফার্স্ট জেন: ২০০৭ সালের জুন মাসে বাজারে আসা এই ফোনে ব্যবহৃত ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার দাম ছিল ৯ ডলার, প্রসেসর ১৪ ডলার, ৪৮ ডলার খরচ পড়েছিলো ৪ জিবি ফ্ল্যাশ মেমোরিতে। এছাড়া ডিসপ্লেতে ৬৫ ডলার, ব্যাটারী, মডেম এবং ওয়াইফাই মিলে ২৭ ডলার খরচ করেছিলো অ্যাপল। সবমিলে অ্যাপল খরচ করেছিলো ২৩০ দশমিক ৬৫ ডলার আর যেখানে তাদের বিক্রয়মূল্য ছিলো ৪৯৯ ডলার। যেটি তাদের উৎপাদন মূল্যের দুই গুণেরও বেশি।

 

2.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ফার্স্ট জেন

২. আইফোন থ্রি-জি: ফার্স্ট জেন বাজারে ছাড়ার ১ বছর পরেই আসে আইফোন থ্রিজি। ফোনটির মডেমে বাড়ালেও ডিসপ্লেতে এবং ফ্ল্যাশ মেমোরিতে খরচ কমিয়েছিলো অ্যাপল। ৫৪ ডলার উৎপাদন খরচ কমিয়ে অ্যাপল মাত্র ১৭৬ দশমিক ৯ ডলারে সেটি বানাতে সক্ষম হয়। তবে সেটির বিক্রয় মূল্য ৫৯৯ ডলার নির্ধারণ করে তারা। যা তিনগুণেরও বেশি লাভে বিক্রি হয়।

 

3.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন থ্রি-জি

৩. আইফোন থ্রি-জিএস: এটি আইফোনের তৃতীয় সংস্করণ। এটি আগের সংস্করণের চেয়ে গতির দিক থেকে এগিয়ে এবং ২ ও ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে খরচ এবং দাম ছিলো আগের সংস্করণের মতোই অর্থাৎ ১৭৬ ডলার এবং ৫৯৯ ডলার।

 

4.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন থ্রি-জিএস

৪. আইফোন ৪: এই মডেলের স্মার্টেফোনটি বাজারে আসে ২০১০ সালে। এটিতে অ্যাপল ব্যবহার করেছে রেটিনা ডিসপ্লে যার দাম পড়েছে ৪০ ডলার। সামনে পেছনে দুই ক্যামেরার কারণে ফোনটির খরচ তার আগের সংস্করণের চেয়ে ৭ ডলার বেড়ে ১৮৪ ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। তবে অ্যাপল ফোনটি বিক্রি করে ৬০০ ডলারে। এই ফোনেও ৩গুণ বেশি লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি।

 

5.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ৪

৫. আইফোন ৫: অপেক্ষাকৃত বড় ডিসপ্লে নিয়ে এসেছিলো আইফোন ৫। ক্যামেরা, ডিসপ্লে, প্রসেসর এসবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ২০৫ ডলার। তবে এই স্মার্টফোনটি বিক্রি করা হয়েছিলো ৬৪৯ ডলারে যা খরচের তিনগুণেরও বেশি।

 

6.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ৫

৬. আইফোন ৬: খরচ বৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো এই স্মার্টফোনটিতেও। এর নেপথ্য কারণ হচ্ছে এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এ-৮ প্রসেসর। যার কারণে আগেরটির চেয়ে ৭ ডলার বেশি অর্থাৎ ২১২ ডলারের যন্ত্রাংশ খরচ করে সেটিও ৬৫০ ডলারে বিক্রি করে অ্যাপল।

 

7.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ৬

৭. আইফোন ৭: ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসে আকর্ষণীয় এই স্মার্টফোনটি। ক্যামেরা, ডিসপ্লে এবং প্রসেসরের উন্নতিতে খরচ বেড়ে হয়েছিলো ২৩৭ ডলার কিন্তু এর বিপরীতে আলাদা করে দাম বাড়ায়নি অ্যাপল।

 

8.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ৭

আইফোন ৮: চলতি বছর আইফোন এক্স বা টেনের সাথে আইফোন ৮ বাজারে ছাড়ে অ্যাপল। আইফোন এক্স এর কথা বাদ দিলে আইফোন ৮ এ সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে অ্যাপল। অধিকতর উন্নত ক্যামেরা, ব্যাটারি, প্রসেসর এবং ডিসপ্লের জন্য এটিতে ব্যয় হয়েছিল ২৪৮ ডলার। যেটি পরবর্তীতে ৬৯৯ ডলারে বিক্রি করে অ্যাপল। এটিতে প্রায় আড়াইগুণ লাভ করে তারা।

 

9.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!

আইফোন ৮

আইফোন এক্স: আইফোনের সকল সংস্করণের মধ্যে এটিই অ্যাপলের সবচেয়ে বেশি খরচে তৈরিকৃত স্মার্টফোন। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্মার্টফোন ক্যামেরা প্রযুক্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, উন্নত প্রসেসর, এবং হাই অ্যাণ্ড ডিসপ্লে ব্যবহারে অ্যাপল খরচ করেছে ৩৭০ ডলার। কিন্তু তারা সেটা সাড়ে তিনগুণ লাভে বাজারে ছাড়ে ১ হাজার ২৫০ ডলার মূল্যে। অ্যাপল একই হারে লাভ করেছে প্রত্যেক সংস্করণের আলাদা আলাদা ফোনগুলোতেও। তবে গড় হিসেব করলে দেখা যায়, অ্যাপল প্রতিটি আইফোনে তিনগুণ লাভ করে থাকে।

 

10.প্রত্যেক আইফোনে তিনগুণ লাভ করে অ্যাপল!