শনিবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১২ ১৪৩২   ০৭ রজব ১৪৪৭

পহেলা বৈশাখ

ঢাবিতে ৫টার পর প্রবেশ নিষেধ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

পহেলা বৈশাখের দিন বিকেল ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে উৎসবের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে কোন ধরণের মুখোশ পরা, ব্যাগ বহন এবং ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে রোববার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, অফিস প্রধানরা এবং বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরো বলা হয়, বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

 

নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সামনের  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ৩৭-সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

সভায়, কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে ২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- শৃংখলা উপ-কমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি। ৪১-সদস্যবিশিষ্ট শৃংখলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং সদস্য-সচিব সহকারী প্রক্টর মো. আবদুর রহিম। ৫১-সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্য-সচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান। সভায় উপ-কমিটিসমূহকে আগামী ৭দিনের মধ্যে সমস্ত কার্যাদি সম্পন্ন করে উপাচার্যকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।