বুধবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ২ ১৪৩২   ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

এ স্বীকৃতি সময়ের দাবি

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। 

আলোচনার মূল বিষয় ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে নিয়ে। আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করার দাবি উঠে ।

উম্মুক্ত এই আলোচনায় অংশ নেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা ও অন্যতম সদস্য শেখ আশরাফ আলী। 

বুধবার বিকালে বিএসজেএ’র কার্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ক্রীড়াবিদদের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তারা।

বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ছাড়াও এ সময় বিএসজেএ’র সভাপতি মোতাহের হোসেন মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আল মুঘনি সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের আর কোন দেশে ফুটবল খেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত ও অর্থ আদায় করার কোন নজির নেই। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিশেয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ক্রীড়া সাংবাদিককতার পথিকৃৎ কামরুজ্জামান এমন ঘটনাকে বিশ্ব ইতিহাসের দলিল হিসেবে উল্লেখ করেন।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘আমি মোহামেডানে ৮ বারের অধিনায়ক, বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক। এরপরও আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক হওয়া।’

অবশ্য দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরল ঘটনার সাক্ষী হবার পরও জাকারিয়া পিন্টু আফসোস করে বলেন, পুরো দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়া তার জন্য কষ্টের। জাতীয় দুটি সর্বোচ্চ পুরস্কারের একটি অন্তত এতদিনে পাওয়া উচিত ছিলো।

প্রতাপ শংকরা হাজরা নিজের দলের ইতিহাস স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত হয়ে ঘটনা বর্ণনা দিলেন, ‘ সালাহউদ্দিনের পরিবার ঢাকায় ছিল। ওর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে নাম পরিবর্তন হয়েছিল। সালাহউদ্দিনের ডাক নাম তূর্য জানতাম। তূর্যর সাথে আমার হাজরা যোগ করে দেই। স্বাধীনতার পরেও এক বছর হয়তো সালাহউদ্দিন এই নামে খেলেছে।’