মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ১ ১৪৩২   ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নবজাতক লালনপালনে দুশ্চিন্তা যেভাবে কাটাবেন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৯ বুধবার

সন্তান জন্মদানের পর নতুন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন নারীরা। সন্তান লালনপালন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসেন এ সংক্রান্ত বইও। সন্তানের জন্ম নেওয়ার পর মায়েদের স্বভাবে পরিবর্তন আসে, শারীরিক ও মানসিকভাবে। এদিক দিয়ে মোটাদাগে সব নারীর অভিজ্ঞতা একই রকম হলেও অনেকেই নবজাতক নিয়ে পড়েন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। আন্তর্জাতিক লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন সাময়িকী ভোগে এমন কিছু অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন এক নারী।

শিশুর কান্না নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত থাকেন মায়েরা। অনেক সময় দেখা যায়, দিনের বেশির ভাগ সময়ও কান্না করছে শিশু। একনাগাড়ে চিৎকার করেই যেতে থাকে সে। একটা সময় হয়তো তার কান্না বা চিৎকার থেমে যায়, একপর্যায়ে তারা হয়তো ঘুমিয়েও যায়। কিন্তু শিশুর এই কান্নার চিৎকার ছাড়ে না আপনাকে। এমনকি শিশু হয়তো ঘরের বাইরে কোথাও অবস্থান করছে। এরপরেও মায়ের মনে হতে থাকে এখনো তার শিশু কাঁদছে। চারিদিক থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সে। এই দীর্ঘ সময় জুড়ে এই হেলুসিনেশন চলতে থাকে। এমনকি সারা রাতও এমনটা ঘটে। মনে হতে থাকে ঘরের নানা জায়গা থেকে শিশুর কান্না ভেসে আসছে।

শিশুকে দেখাশোনা করতে গিয়ে মা-বাবারা সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়েন অনলাইনে কোনো কাজ করতে গিয়ে। তাদের মোবাইলে এমন অনেক কিছুই থাকে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। অ্যাডাল্ট ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড থেকে শিশুদের দূরে রাখাই উচিত বাবা-মায়ের। এ ক্ষেত্রে শিশুকে দোলনা রেখে আপনি মোবাইলে বা অনলাইনে কাজ সাড়তে পারেন। শিশুকে আড়ালে রেখেই একহাতেই সেরে ফেলে পারেন কোনো ই-মেইলের উত্তর দেওয়া।

বাচ্চা হওয়ার পর মায়েরা সহজ অনেক কিছুই ভুলে যান। টুকটাক যে কোনো কিছু মনে না রাখতে পেরে অনুশোচনাবোধ কাজ করে তাদের। মূলত এটা হয় কম ঘুমানোর কারণে। শিশুকে লালনপালন করতে গিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় পান না তারা। সেটি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। কারণে অকারণে রাতে একাধিকবার ঘুম ভেঙে যায় মায়ের। শিশু কখনো কান্না করতে থাকে বা জেগে গিয়ে নড়াচড়া করা শুরু করে বা পায়খানা-মূত্র সারে বা তার শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে-এতেই আপনার ঘুম আর হয়ে ওঠে না। স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার আগে আপনি যেভাবে ঘুমাতেন, এখন আর সেটি সম্ভব না।

শিশুরা ক্লান্ত হয়ে যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে। এমনকি বাবা-মা টিভি দেখার সময়ও হাতের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে শিশু। এ ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হচ্ছে ন্যাপ মেট ব্যবহার করা। যে কোনো জায়গায় শিশু ঘুমিয়ে গেলে তাকে মেটের ভেতরে রেখে দিতে পারেন। বিছানায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনও হবে না এতে।