মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ১ ১৪৩২   ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাধীনতার লাল সবুজ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ও বাঙালিদের বিশেষ আয়োজনে লাল সবুজ থাকবে না, তা কি করে হয়। না হলেই যেন কেমন বেমানান লাগে। তাছাড়া স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় পর্যায়ের দিনগুলোতে গণমানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়েই চলছে। আনন্দের সঙ্গে পোশাক পরা সক্রিয় একটা ব্যাপার। আর দিবস ভিত্তিক পোশাকের ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতিতে আনেন এ দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

 

বুদ্ধিজীবীরাও মনে করেন, দিবসের পোশাকে ধারাটা চালু থাকা জরুরি। এতে করে ফ্যাশনের সঙ্গে মানুষের সরাসরি সংযোগ ঘটার পাশাপাশি স্বাধীনতা লাল-সবুজ বসন অঙ্গে জড়ানো হবে। এমনি এক উপলক্ষ দোরগোড়ায় হাজির। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতীয় জীবনেরই এক বড় প্রাপ্তির ইতিহাস আমাদের বিজয় দিবস।

এমন একটি সময়কে না জীবনযাপনে, না পোশাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করার উপায় নেই। পোশাকে স্বাধীনতাকে ফুটিয়ে জন্য জাতীয় জীবনে কিছু দিন আছে যেগুলো খুবই অর্থবহ এবং সবাই চায় সেই দিনগুলো নানাভাবে উদযাপন করতে। আর এই উদযাপনের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে পোশাক। আর সামনেই যেহেতু বিজয় দিবস আনন্দের দিন, তাই আমরা পোশাকের মধ্যে সেই আনন্দভাবটা তুলে ধরতে পারি। লাল-সবুজ যেহেতু আমাদের জাতীয় পতাকার রঙ, তাই পোশাকে এই দুটি রঙের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আনন্দের রঙ সৃষ্টি করা হয়েছে। এভাবেই স্বাধীনতার রঙে সেজেছে এ দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো।

আর পোশাক মানেই যে শুধু শাড়ি, সালাওয়ার কামিজ বা ফতুয়াই হতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। আপনি আপনার ফ্যাশন চেতনাকে কীভাবে প্রকাশ করবেন সেটা আপনার ব্যাক্তি স্বাধীনতা। ‘লাল, সবুজ’ এই দুটি রঙ নিয়েই খেলুন না মন খুলে। আপনার ডিজাইন তুলে আনিন শাড়ি অথবা গ্রাউনে।

এবারো রঙ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আমাদের দেশের সবুজ প্রকৃতির রঙ আর স্বাধীনতার লাল সূর্যের রঙ। এই পোশাক যেমন আমদের স্বাধীনতার চেতনা তেমনি নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে। অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার বার্তা বহন করে। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অঙ্গে ধারণ করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে।

পোশাকের মাধ্যমেও যে স্বাধীনতার চেতনা, স্বাধীনতার স্মারক বহন করা যায়, এ ব্যাপারে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করেন এ দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাই বিজয় দিবসকে ঘিরে যার যার সাধ্যমতো বিজয়ের সাজে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। কালেকশনে কমতি নেই। ছেলে ও মেয়েদের টি-শার্ট, ফতুয়া, শাল, ব্যান্ডেনা, পাঞ্জাবি, শার্ট, মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, টপস কোথায় নেই স্বাধীনতার প্রণোদনা।

বেইলী রোড হয়ে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, তারপর বসুন্ধরা সিটি এরপর বনানী এগারো নম্বর রোড, মাঝখানে ধানমণ্ডি সোহবাহানবাগ ঘুরে উত্তরা, মিরপুর- সবখানে সব ফ্যাশন হাউসে স্বাধীনতার রঙ লেগেছে। বরাবরের মতো এবারো স্বাধীনতার রঙ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লাল-সবুজ রঙকে।