মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ১ ১৪৩২   ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

মুড সুইং ...

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার

মৌসুমীর দুই বাচ্চা, মাত্র দেড় বছরের ব্যবধান দু’জনের। এদিকে সাহয্য করারও তেমন কেউ নেই। বাচ্চা-ঘরের কাজ সামলে তার মেজাজ যেন সব সময়ই খারাপ থাকে। কেউ ভালোভাবে কিছু জানতে চাইলেও ঠিকভাবে উত্তরও দিতে ইচ্ছে করে না মৌসুমীর। 

 

এদিকে জয়ার সসস্যা ভিন্ন সব সময় দারুণ চটপটে হাসিখুশি মেয়েটি হঠাৎ কেমন মনমরা হয়ে যায়। তখন যেন তাকে চেনাই যায় না, মনে হয় অন্য কোথাও হারিয়ে গেছে মনে-মনে। এই সমস্যাগুলোই আসলে মুড সুইং। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের মধ্যেই মুড সুইং দেখা যায়। তবে পুরুষদের যে একেবারেই হয় না তা কিন্তু নয়। 

নারীদের মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের পরপরই এমন বেশি দেখা যায়। তবে মুড সুইং ঘটতে পারে যেকোনো সময়ে, যেকোনো কারণে। 

মুড সুইং-এর সময় সাধারণত মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, চট করেই বিরক্তি পেয়ে বসে এবং কখনো প্রবল দুঃখবোধ হতে থাকে। কোনো কারণ ছাড়াই হয়তো কান্না পাচ্ছে, কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করছে, এমন হাজারো উপসর্গ রয়েছে। 

এমন হলে যা করতে হবে: 
•    প্রথমেই লক্ষ্য করুন, ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে তো! 
•    পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে 
•    হালকা ব্যায়াম করুন 
•    খোলা জায়গায় প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন
•    সময় মেনে সুস্থ জীবন যাপন করুন
•    মন খারাপ করা মুভি বা সংবাদ দেখার পরিবর্তে কমেডি বা রোমান্টিক মুভি দেখুন 
•    পছন্দের খাবার খান 
•    প্রকৃতির কাছে যান, দু’চোখ ও মন ভরে উপভোগ করুন প্রকৃতির রূপ 
•    মন কেন বারবার খারাপ হচ্ছে যদি বুঝতে পারেন তবে বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন 
•    পরিবার আর কাছের বন্ধুদের জানিয়ে দিন আপনার মুড সুইং করছে, তারা যেন কয়েকটা দিন আপনাকে মানসিক সাপোর্ট দেন। 


সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসাইন বলেন,  মুড সুইং এক ধরনের মানসিক অবস্থা বা সমস্যা। তবে প্রাথমিকভাবে একে সরাসরি মানসিক রোগ বলা যায় না। বেশির ভাগ সময়ই মুড সুইং খুব অল্প সময়ে ঠিক হয়ে যায়। 
কিন্তু যদি ঠিক না হয় বা মনে করেন এটি সমস্যা করছে প্রতিদিনের জীবনে-কাজে-সম্পর্কে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।