মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ১ ১৪৩২   ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

কেকের মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভাবেন না!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার

জন্মদিনসহ যেকোন উপলক্ষ মানেই পছন্দসই কেক, সাথে মোমবাতি ও বেলুন।

সবার সাথে হইহুল্লোড় করে কেক কাটার আগে মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে ইচ্ছাপূরণের উইশ করা, এরপর কেক কাটা, সবাই মিলে আনন্দ করা।

কিন্তু এখন যদি বলা হয়, চিরাচয়িত রুটিন অনুযায়ী কেকের সাথে থাকা মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভানো অস্বাস্থ্যকর ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ একটি অভ্যাস, তবে অনেকেই অবাক হবেন।

কিন্তু বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি বলে জানাচ্ছে গবেষকেরা। প্রিয় কেকের উপরে বসানো মোমবাতিগুলো মুখের বাতাসের সাহায্যে নেভানোর সময় কেকের ব্যাকটেরিয়া অন্ততপক্ষে পনের হাজার (১৫,০০০) গুণ বেড়ে যায়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনার ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণামূলক পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গেছে, মোমবাতির মতো জ্বলন্ত কিছু থেকে নির্গত হওয়া কেমিক্যালের কারণে কেকের উপরিভাগের অংশে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যায়। আগুণ নেভানোর ফলে মোমবাতি থেকে অ্যারোসল জাতীয় উপাদান নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

একইভাবে কেকের উপর ফুঁ দেওয়ার পনের মিনিট পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এতে আশঙ্কাজনক হারে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। মানুষ ও পরিবেশগত কারণে ক্ষতিকর এই ব্যাকটেরিয়া সর্বোচ্চ ১০০ ভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে।

আনন্দ করতে কোন বাধা নেই। তবে নিজের সুস্বাস্থ্যের প্রতিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গবেষকেরা আরও জানিয়েছে, যে ব্যক্তি মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভাবেন তার শারীরিক অবস্থা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ইনফেকশনজনিত সমস্যা, মুখ ও দাঁতের সমস্যার উপরে নির্ভর করেও ব্যাকটেরিয়ার ধরণ ও পরিমাণ ছড়িয়ে থাকে।

যেহেতু প্রাকৃতিক ও জন্মগতভাবেই মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ায় করে, তাই অধিকাংশক্ষেত্রেই কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। তবে বায়ুঘটিত রোগের ফলে যেকোন সময় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে বলে, গবেষকেরা সচতেনতা স্বরূপ কেকের উপর মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভাতে নিষেধ করেন।